কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা এর বিশেষ বিশেষ গুণগুলো জানুন

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এই উপকারিতাগুলো জানলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন এই উদ্ভিদ থেকে। এই আর্টিকেলে এই উদ্ভিদকে চেনা থেকে এই উদ্ভিদের সকল উপকারিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে।

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা

তাই প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা এবং এর বিশেষ গুণগুলো জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতাঃএর বিশেষ বিশেষ গুণগুলো জানুন

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা এর বিভিন্ন উপকারিতার মধ্যে বিশেষ কিছু উপকারিতা ধারাবাহিকভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করছি এর গুনাগুন সম্পর্কে জেনে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। নিম্নে এর উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো-

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার বৈজ্ঞানিক কোনো উপকারিতার প্রমাণ নেই, তবে বিভিন্ন অনলাইন সূত্র থেকে জানা যায় এর বেশ কয়েকটি উপকারিতা। এর মধ্যে মানুষের শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা দূরে বেশি প্রাধান্য দেয়। যেমন-
  • এটি খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়।
  • স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে।
  • শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।
  • শুক্র গাঢ় করে।
  • দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে।
  • লিঙ্গ শৈথিল্য ও ধাতু দুর্বলতা দূর করে।
এই গাছের ফল ও পাউডার গুড়া বেশি ব্যবহৃত হয়। গ্রাম অঞ্চলে এই গাছটির দেখা সহজে মিলে। বিভিন্ন পতিত জায়গা ও রাস্তার পাশে এই গাছটি সচারচর দেখা যায়।

বীর্যমনি গাছের ইংরেজি নাম কি

বীর্যমনি গাছের ইংরেজি নাম কি চলুন এবার এই বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। এই গাছটি বিভিন্ন নাম রয়েছে। কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো এর বেশ কয়েকটি ইংরেজি নাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

বীর্যমনি গাছের ইংরেজি নাম হচ্ছে (Oroxylum indicum), একে ইন্ডিয়ান ট্রাম্পেট ট্রি (Indian trumpet tree) ও ইন্ডিয়ান ট্রাম্পেট ফুল (Indian trumpet flower), ভাঙা হাড় (Broken bones), স্কাইথ ট্রি ( Scythe tree), ড্যামোক্লিস ট্রি (Damocles tree), মিডনাইট হরোর ( Midnight horror), অরক্সিলাম (Oroxylum)। সুত্র উইকিপিডিয়া। 

নিম্নে আমরা এই গাছ ও গাছের  সকল ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আরো জানবো এর বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম। বিস্তারিত জানতে নিম্নের বিষয় গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

বীর্যমনি গাছের অন্য নাম

বীর্যমনি গাছের অন্য নাম সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য এই গাছের সকল কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি বিষয় গুলো ধারাবাহিক ভাবে পড়বেন। নিম্নে কাঁচা বীর্যমনি গাছের অন্য নাম তুলে ধরা হলো -

কাঁচা বীর্য মনি গাছের নাম আঞ্চলিকভাবে তেমন ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় না। তবে এর বেশ কিছু আঞ্চলিক নাম আছে। এর ইতিহাসটি অনেক পুরনো এ গাছটিকে মূলত মিশ্রি দানা বা মিষ্টি গাছ বলে অনেকেই ডেকে থাকে। অনেকে আবার এই গাছটিকে চিনি দানা গাছ বলে। 

এই গাছটিকে মিশ্রি দানা বা মিষ্টি গাছ এ কারণে বলা হয়ে থাকে কারণ এই গাছটির পাতা অনেক মিষ্টি। আপনি যদি এই গাছটির পাতা খালি মুখে চিবিয়ে খান তাহলে দেখবেন যে একটি মিষ্টতা ভাব রয়েছে। এ কারণে মূলত এই গাছটিকে আঞ্চলিকভাবে মানুষ মিশ্রি দানা বা মিষ্টি গাছ বা চিনি দানা বলে থাকে। 

বীর্যমনি গাছ দেখতে কেমন

বীর্যমনি গাছ দেখতে কেমন কিভাবে চিনবেন? আসুন জেনে নেই এ গাছ দেখতে কেমন হয়। এর পাশাপাশি এই গাছের ফল কেমন হয় সেটাও এই কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলে জানতে পারবেন। নিম্নে এই গাছের ফল ও এই গাছের ছবি দেখানো হলো-














বীর্যমনির বিশেষ গুণাবলী জানুন

বীর্যমনির বিশেষ গুণাবলী জানুন। আপনি জানলে অবাক হবেন। এই গুণাবলী গুলো আমাদের শরীরে অনেক শক্তি জোগায়। তাই আসুন বিস্তারিত জেনে নেই এর বিশেষ গুণাবলী সম্পর্কে। 
বীর্যমনির বিশেষ গুণাবলী জানুন

এই গাছের ইতিহাস বেশ পুরনো প্রায় ২০০ বছর আগে ভারতে এ গাছের উৎপন্ন হয়েছে বলে ধরা হয়। এই বীর্যমনি বা মিষ্টি দানা গাছটি পঞ্চম শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারকদের মাধ্যমে সুদূর প্রাচ্যে প্রবর্তিত হয়েছিল। এটি ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনপ্রিয় উদ্ভিদ। 

বীর্যমনি গাছের  বিশেষ কয়েকটি গুণাবলী রয়েছে যার জন্য এই গাছটি অধিক প্রিয় ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে। বাংলাদেশের এই গাছটি লক্ষ্য করা যায় এবং এর ব্যবহার ও বেশ লক্ষ্য করা যায়। তাই চলুন জেনে নিই বীর্যমনি গাছের বিশেষ গুণাবলী সম্পর্কে। 

এই গাছের পাতা ও ফল দুটোই ব্যবহার হয়ে থাকে।  এর পাতা মূলত মিষ্টি স্বাদের। এর পাতা ও ফল খেলে পুরুষদের শুক্রানু বৃদ্ধি পায়, তাছাড়া এটি পুরুষের বীর্য গাড় করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেই সাথে শারীরিক দূর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে যা আমাদের জানতে হবে। বিশেষ এই নিয়ম গুলো এখন আমরা জানবো। নিম্নে কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো-

কাঁচা বীর্যমনি অনেক ভাবে খাওয়া যায়। যেমন এর পাতা ভালোভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায় আবার এর বীজ গুড়া করে পানি দিয়ে খাওয়া যায়। তবে কিছু সময় রয়েছে এটা খাওয়ার।

কাঁচা বীর্যমনির পাতা খেতে পারেন দুটি উপায়ে। একটি হচ্ছে এর পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন আবার পাতা বেঁটে এর রস করেও খেতে পারেন।  আর পাউডার করে খেতে হলে এর বীজ ভালোভাবে ধুয়ে গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। 

কোন সময়ে কাঁচা বীর্যমনি খাওয়া উচিত

কোন সময়ে কাঁচা বীর্যমনি খাওয়া উচিত কোন সময়ে খেলে শরীরে কেমন কি হতে পারে? তা বিস্তারিত জানতে এই  বিষয়টি ভালোভাবে পড়ুন। নিম্নে এ বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরা হলো 

কোন সময়ে খেলে ভালো হয় চলুন সেটা জেনে নেই। যদি আপনি এর পাতা ব্যবহার করেন তবে সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো। আর যদি ফলের গুঁড়া খেতে চান তাহলে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন আবার ভরা পেটে খেতে পারেন। এটা আপনি সকালে ও সন্ধ্যায় খেতে পারেন। 

এর পাতাটাও আপনি সকালে ও সন্ধ্যায় খেতে পারেন। তবে আপনাকে জানতে হবে কি পরিমাণ পাতা ও বীজ গুড়া খেতে হবে। এর পাতা ছোট হওয়ায় এর ১০ থেকে ১৫ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খেতে পারেন। আর এর গুড়ো ১ চামচ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। 

বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা

বীর্যমনি পাতা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর ফল খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে। আসুন নিম্নে আমরা এ বিষয়টি জেনে নেই। 
বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা

বীর্যমনির ফল আসতে দেরি হয়, তবে এর পাতা ও ফল সেই সাথে এর বীজ পুরুষদের শরীরে অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসে। এর ফল বিশেষ করে পুরুষদের জন্য উপকার করে থাকে। 

এর ফল খেলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সাথে যৌন দূর্বলতা কমিয়ে দেয়। একজন পুরুষের শারীরিক শক্তি ভালো থাকলে তার মানসিক স্বাস্থ্য এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এর পাতা, ফল এবং বীজ পুরুষদের শরীরে একইরকম উপকার করে থাকে।

বীর্যমনির দাম কত

বীর্যমনির দাম কত চলুন এবার আমরা কাঁচা বীর্যমনি খাওয়ার উপকারিতা এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত বিষয়াদি জেনে নেই। 

বীর্যমনির গাছ গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়, তাই যারা গ্রামে বসবাস করেন তাদের জন্য এর পাতা ও ফল সেই সাথে এর পাউডার সংগ্রহ করা মোটেও কোনো কঠিন ব্যপার নয়। তবে শহর অঞ্চলে এর পাতা ও ফল না পাওয়া গেলেও এর পাউডার বিভিন্ন ভেষজ দোকানে পাওয়া যায়। 

বীর্যমনি পাউডারের দাম বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন হতে পারে। তবে আপনাদের ধারনার জন্য আমি কয়েকটি বাজারের দাম উল্লেখ করলাম। দারাজে এই পাউডারের (১০০গ্রামের) দাম মাত্র ৩৪০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন বাজারে আপনি এই পাউডার (১০০গ্রাম) ৩০০ টাকা থেকে ৩৭০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। 

বীর্যমনি খাওয়ার সময় সতর্কতা

বীর্যমনি খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা রয়েছে যেগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। সতর্কতার সাথে এটি ব্যবহার করলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে।

এর পাতা, ফল ও বীজ গুড়া অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবে না। উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়, তবে যদি কারো সমস্যা হয় তবে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ হাকিমের পরামর্শ নিবেন।
   

কাঁচা বীর্যমনি সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

কাঁচা বীর্যমনি সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো। আপনাদের মাঝে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে তাই আপনাদের জন্য  কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: কাঁচা বীর্যমনির কোন অংশ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: কাঁচা বীর্যমনির পাতা, ফল ও বীজ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: এই গাছ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: এই গাছ গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়, শহরে এই গাছ না থাকলেও এর বীজের পাউডার বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। 
প্রশ্ন: এর বীজের দাম কত হতে পারে? 
উত্তর: মূলত ১০০ গ্রাম পাউডারের দাম ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন: এর মূল কাজ কি?
উত্তর: এর মূল কাজ যৌন দূর্বলতা দূর করা,সেই সাথে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই এটা ব্যবহারের আগে কোনো হাকিমের পরামর্শ নিবেন, যদি কোনো সমস্যা হয়।

আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এই পর্যন্ত শেষ করলাম। আমার আর্টিকেল ভালো লাগলে আমার ওয়েবসাইটটি প্লিজ ফলো করে আমার পাশে থাইকেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url