জাফরান সাবান এর অপকারিতা-জেনে নিন এর রহস্যময়ী গুণ

জাফরান সাবান এর অপকারিতা-জেনে নিন এর রহস্যময়ী গুণ এই আর্টিকেলে আপনাদের আমি জাফরান সাবানের এ টু জেড সকল কিছু বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

জাফরান-সাবান-এর-অপকারিতাজাফরান সাবান রহস্যময়ী গুণে ভরপুর একটি সাবান। এর যেমন গুণাগুণ অনেক বেশি তেমনি এর বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা রয়েছে। এসকল বিষয়াদি ধারাবাহিকভাবে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি বিষয়গুলো যত্ন সহকারে পড়বেন।

পেজ সূচিপত্রঃ জাফরান সাবান এর অপকারিতা-জেনে নিন এর রহস্যময়ী গুণ

জাফরান সাবান এর অপকারিতা

জাফরান সাবান এর অপকারিতা তেমনটা হয় না তবে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সমস্যা হতে পারে। চলুন এবার জাফরান সাবানের কি কি অপকারিতা থাকতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

জাফরান সাবানের উপকারিতা বেশি, এর অপকারিতা বলতে গেলে এই সাবান চেনার বিষয় অর্থাৎ সাবানটি যদি কম দামের বা নকল হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এটা হতে পারে আপনার ত্বকের এবং স্কিনের এছাড়াও আপনি যদি এটা ভুল ভাবে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের এই জাফরান সাবান পাওয়া যায়, তবে সব সাবানই ভালো নয়। আসল জাফরান সাবান অনেক দামি হয়, কম দামে আপনাকে জাফরান সাবান দিচ্ছে বলে বুঝবেন যে আপনাকে ঠকাচ্ছে। জাফরান একটি মূল্যবান উদ্ভিদের ফুল। যদি নকল জাফরান সাবান ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বকের অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে।

নকল জাফরান সাবানে বিভিন্ন ধরনের ক্ষারীয় পদার্থ থাকার জন্য আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আবার এর ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে না জানি, আমরা যদি বারবার বেশি বেশি ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকি তাহলে এর ফলে আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

জাফরান সাবান কি দিয়ে তৈরি

জাফরান সাবান কি দিয়ে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। জাফরান সাবান এর অপকারিতা ও এর রহস্যময়ী গুণ এই প্রবন্ধে আমরা নিম্নে আপনাদের জন্য উল্লেখ করছি জাফরান সাবান কি দিয়ে তৈরি হয়।

জাফরান সাবান মূলত জাফরান দিয়ে তৈরি করা হয়। এর সাথে অবশ্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকে। অনেকেই জাফরান সাবান তৈরিতে জাফরানের সাথে গট মিল্ক ব্যবহার করে। কেউ কেউ আবার গ্লিসারিন জাফরান এবং বিভিন্ন প্রাণীর তরল দুধ ব্যবহার করে।

এছাড়া অনেকে আবার এই জাফরান সাবানের সাথে ছাগলের দুধ বা অনেকে গরুর দুধ দিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে তৈরি করে। একেক জন একেক ধরনের এই জাফরানের সংমিশ্রণ করে অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের সাথে মিশিয়ে সাবান তৈরি করে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

জাফরানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি

জাফরানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি এবার জাফরান সাবান এর অপকারিতা ও জেনে নিন এর রহস্যময় গুণ এই প্রবন্ধে এখন আপনারা জাফরানের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানবেন। আশা করছি বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে ও মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

জাফরান ওষুধ হিসেবে নিরাপদ কিন্তু সম্ভাব্য এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমনঃ- মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া,  মাথাব্যথা হওয়া, পেটের সমস্যা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। মুখ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জাফরান খাওয়া একদমই অনিরাপদ। ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া জাফরান খাওয়া যাবে না।

জাফরান পাঁচ গ্রাম ও তার বেশি মাত্রায় বিষক্রিয়া হতে পারে। জাফরান ১২ থেকে ২০ গ্রাম মৃত্যুর ডোজ হতে পারে। তাই আমাদের জাফরান সরাসরি খাওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সরাসরি জাফরান খাওয়া যাবেনা। এটা শুধু ত্বকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করতে পারবেন।

পুরুষের জন্য জাফরানের কি কি উপকারিতা রয়েছে

পুরুষের জন্য জাফরানের কি কি উপকারিতা রয়েছে চলুন এ বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। পুরুষের জন্য আসলে কতটুকু এই জাফরান উপকারিতা বই নিয়ে আসে এবং সেইসাথে জাফরান সাবান কি পুরুষরা ব্যবহার করতে পারবে সে সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলো-
পুরুষের-জন্য-জাফরানের-কি-কি-উপকারিতা-রয়েছে
পুরুষদের জন্য জাফরান নানা উপকার করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এটি পুরুষদের লিঙ্গ দৃঢ় রাখে। সেই সাথে পুরুষদের সেক্স চাহিদা বা যৌন আগ্রহ বাড়ায়। এটি দুধের সাথে স্বামী-স্ত্রী উভয় খেতে পারেন। উভয়ের জন্য অনেক উপকারি। জাফরান জল ব্যবহারের ফলে পুরুষদের উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ এটি একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে।

জাফরান পুরুষদের অনেক স্ট্যামিনা বাড়ায়। জাফরান পুরুষদের ত্বক থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। শরীরে ত্বক সুন্দর রাখে, সেই সাথে এতে থাকা পুষ্টিগুণ্যের ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই জাফরান সাবান যদি পুরুষরা ব্যবহার করে তাহলে তাদের ত্বক সুন্দর হবে।

প্রতিদিন জাফরান কি মুখে লাগানো যাবে

প্রতিদিন জাফরান কি মুখে লাগানো যাবে? হ্যাঁ অবশ্যই যাবে তবে সেটা নিয়মিত পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং সঠিক মাপে এবং সঠিক সময়ে। প্রতিদিন জাফরান মুখে লাগাতে হবে এবং মুখে লাগানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। নিম্নে প্রতিদিন জাফরান কি মুখে লাগানো যাবে সে ব্যাপারে আলোচনা করা হলো-

জাফরানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যার ফলে ত্বকের যত্নে এটি অনন্য। জাফরানে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক এগুলোর জন্য ত্বকের অনেক ভালো যত্ন হয়। এই জাফরান প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জাফরান মুখের ব্ল্যাকহেডস ও বন্ধ খোলা ছিদ্র দূর করে। এটি আপনার ত্বককে আদ্র ও সতেজ রাখে।
 
জাফরান নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বককে প্রাণবন্ত করতে পারে। তবে আপনাকে সেটা নির্দিষ্ট  পরিমাণে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নিম্নে জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম এ বিষয়টিতে এটি ব্যবহারের নির্দিষ্ট পরিমাণ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে পড়তে থাকেন, আশা করি সকল বিষয় ভালোভাবে জানতে পারবেন।

আসল জাফরান সাবান চেনার উপায়

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জাফরান সাবান বাজারে এসেছে। এ সকল সাবানের ভেতরে আসল সাবান চেনাটা অনেক জটিল। অনেকেই আমরা নকল সাবান ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেই সাথে এই সাবানের যে ফলাফল সেটা ভালোভাবে পায় না। নিম্নে আসল জাফরান সাবান চেনার উপায়গুলো তুলে ধরা হলো-

জাফরান এক ধরনের মসলা। ক্রোকাস স্ট্যাটিভ্যাস নামক ফুল থেকে এটি আহরণ করা হয়। বাজারে আসল জাফরান সাবান একটু ব্যয়বহুল। ব্যয়বহুল বলতে আসল জাফরান সাবান দামি হয়। কেননা এই মশলাটাই অনেক ব্যয়বহুল মশলা। এই মশলা জাতীয় পণ্যটি সাবানে ব্যবহার করার ফলে সেই সাবানটিও অনেক ব্যয়বহুল হয়।

বাজারে অনেক সস্তা জাফরান সাবান পাওয়া যায়। এগুলো আসলে নামমাত্র জাফরান সাবান। প্রকৃতপক্ষে এই সকল সাবানে জাফরান মশলাটি যেই পরিমাণ প্রয়োজন, সে পরিমাণ ব্যবহার করা হয়না। অন্যান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে জাফরান মতন দেখতে সাবান তারা বাজারজাত করে। এ সকল সাবান তারা সুলভ মূল্যে দিতে চায়। তাই আমাদের সাবধান থাকা উচিত এ ধরনের সাবান কেনা থেকে।

আসল জাফরান সাবান তুলনামূলকভাবে দাম একটু বেশি অন্যান্য সাবানের চাইতে। আসল সাবান চিন্তে হলে আপনার সাবানটি হাতে নিলেই দেখবেন যে এই পণ্যটি দাম বেশি, আবার সেই সাথে এর যে জাফরানের মশলা রয়েছে সেটা একদম সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছে এবং এ জাফরানের ঘ্রাণটি অনেক সুন্দর লাগবে।

জাফরান সাবানের রহস্যময়ী গুণ

জাফরান সাবানের রহস্যময়ী গুণ চলুন এ বিষয়টি এবার জেনে নেওয়া যাক। জাফরান সাবানের বিভিন্ন রহস্যময় গুণ রয়েছে যেগুলো জানলে আপনি অবশ্যই অবাক হবেন তাই আসুন নিম্নে একে একে জাফরান সাবানের রহস্যময়ী গুণগুলো জেনে নেই।
জাফরান-সাবানের-রহস্যময়ী-গুণ
জাফরান সাবানের রহস্যময়ী কয়েকটি গুনাগুনঃ-

  • জাফরান সাবান ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • এটি ত্বকের বিভিন্ন দাগ, মেস্তা এবং অন্যান্য কালো দাগ দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • এই সাবান ত্বককে মশ্চারাইজ এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।
  • এটি ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং রঙের অসামঞ্জস্যতা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • জাফরান সাবান ত্বককে মসৃণ ও নরম তুলতুলে করতে সাহায্য করে।
  • এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকারী।
  • এই সাবান ব্রণ ও ত্বকের সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • এ সাবান রোদেপোড়া দাগ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম

এখন আমরা জানবো জাফরান সাবান আমাদের ত্বকে কিভাবে সঠিক উপায়ে ব্যবহারের নিয়ম। জাফরান সাবানের ব্যবহারের নিয়ম খুবই সহজ। এই সাবান প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও দাগ হীন হবে। নিম্নে জাফরান সাবানের ব্যবহারে সঠিক নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো-

প্রথমে হালকা গরম কুসুম পানিতে আপনার ত্বক ধুয়ে নিন এরপরে জাফরান সাবান মুখে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করুন। এক থেকে দুই মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই সাবান ব্যবহারের সময় বেশি ঘষাঘষি করবেন না।

জাফরান সাবান মুখে প্রয়োগ করার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নেয়া হয় এই ধুয়ে নেওয়ার ফলে জাফরান সাবান ত্বকের জন্য প্রস্তুত হয়। এইভাবে জাফরান সাবান প্রয়োগ করলে ত্বক অনেক সুন্দর হয় এবং সেই সাথে উজ্জ্বল ও দাগ হীন দেখাতে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে।

এভাবে প্রতিদিন যদি এটি প্রয়োগ করেন তাহলে আপনার ত্বক তাড়াতাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে। কিন্তু অবশ্যই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এটা খুব গরম পানিতে মুখ ধোয়া যাবে না। হালকা কুসুম পানিতে মুখ ধুতে হবে। সেই সাথে যাদের সেনসিটিভ স্কিন তাদের জন্য দেখতে হবে ত্বকের অল্প খানিক ব্যবহার করে যে আসলে এটা ব্যবহার ঠিক হচ্ছে কিনা।

জাফরান সাবানের দাম

জাফরান সাবানের দাম চলুন এ বিষয়টি এবার বিস্তারিত জেনে নেই। জাফরান সাবানের দাম বিভিন্ন স্টোরে বিভিন্ন ধরনের দেখা যায়। অনেক স্টোরে দেখা যায় এটি অনেক সুলভ মূল্যে দিচ্ছে আবার অনেক স্টোরে এটার দাম বেশি।

তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত বলছে, যে স্টোরে দাম কম সাবানটি অবশ্যই নকল সাবান হতে পারে। তাই ঐ সকল সাবান নেয়ার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে নেবেন। যে স্টোরে বেশি দাম সে স্টোরে অবশ্যই সাবানটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তারপরেও আপনারা অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নেবেন।
 
প্রিমিয়াম হ্যান্ড মেড জাফরান সাবান অর্গানিক স্টোর বিডি থেকে ৮০ গ্রাম জাফরান সাবান ৬৫০ টাকা মূল্যে পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন স্টোর থেকে এই সাবানের দামের পার্থক্যটা একটু কম বেশি হতে পারে। বিভিন্ন অনলাইন এ সাবান অনেক কম দামে বিক্রি করে এই যেমন ধরেন ১৫০ টাকা। এ ধরনের প্রতারণা থেকে অবশ্যই আপনাকে বাঁচতে হবে।

এর মূল কারণ হচ্ছে জাফরান সাবান একটু দামি। ১০০ গ্রাম জাফরান সাবান কখনোই একজন ব্যবসিক ১৫০ টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেনা, অবশ্যই এতে ভেজাল রয়েছে। তাই আশা করি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এই সাবানটি বৈদেশিক এক ধরনের সাবান রয়েছে যার মূল্য ১০০ গ্রামের দাম ২১৫০ টাকা। তাহলে আপনারা নিজে থেকেই বুঝুন যে আসলেই কোনটি কেমন।

জাফরান সাবান কি মুখ ফর্সা করে

জাফরান সাবান কি মুখ ফর্সা করে, হ্যাঁ অবশ্যই পারে! জাফরান সাবান মুখ ফর্সা করতে পারে তবে এটা দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। যেহেতু এটি প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে, সে কারণে এটা ধীরে ধীরে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল দাগ হীন ও সুন্দর দেখায়।

জাফরান সাবান প্রতিনিয়ত ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করবে। আপনার ত্বককে নরম মসৃণ দেখাবে। এই সাবান ত্বকের শুষ্কতা দূর করে সেই সাথে তবে তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের গঠনপ্রণালী উন্নত করে, ত্বককে মশ্চারাইজ করে। যদি আপনি দ্রুত ত্বক ফর্সা করতে চান, তবে অবশ্যই এটি আপনাকে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্নি থেকে বাঁচতে হবে।

এই জাফরান সাবান প্রয়োগের আগে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখবেন এই সাবানে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে উপাদান গুলো ভালোভাবে পড়ে দেখে নিবেন। সেই সাথে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন।

জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম

জাফরান সাবান আপনি ঘরে বসে বানাতে পারেন। এর জন্য বেশ কয়েকটি উপকরণ প্রয়োজন। এই উপকরণের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে জাফরান সাবান বানাতে পারবেন। নিম্নে জাফরান সাবান বানানোর সঠিক নিয়ম গুলো আপনাদের মাঝে উল্লেখ করা হলো-

জাফরান সাবান তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে নিয়ে আসতে হবে জাফরান। এটা আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট বা বিভিন্ন বড় মার্কেটপ্লেস থেকে নিতে পারেন। অনেক জায়গায় এখন দেখা যায় বড় মুদির দোকানে এটা থাকে। যেহেতু এটা রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায় সেজন্য এটা মুদির দোকানেও থাকে। জাফরান বা কেসার এটা নেওয়ার পরে আপনাকে নিতে হবে গট মিল্ক সাবান।

জাফরান সাবান বানানোর আগে জাফরান গুলো কাঁচা দুধে দুই থেকে তিন ঘন্টা ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। যেন জাফরান গুলো নরম হয়ে যায়। এরপরে গড মিল্ক সাবানটি নিতে হবে অবশ্যই গট মিনিট সাবানটা একটু ভালোটা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ভালোটা নরম হয় এবং এটা একটু দাম বেশি,  আর অন্যটি শক্ত হয় দাম কম। আপনি চেষ্টা করবেন ভালোটা নেওয়ার।

এরপর গট মিল গরম পানিতে অন্য একটি পাত্রে নিয়ে গুলিয়ে নিতে হবে। গলানো পরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিতে হবে। এরপরে ভেজানো দুধ এবং জাফরান সেই পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। তিন মিনিট জাল দেওয়ার পরে এরপরে একটি সাবান তৈরির ছাঁচে ঢালতে হবে। এরপর এক ঘন্টা পরে দেখতে পাবেন যে সাবান হয়ে গেছে।

জাফরান সাবান সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

জাফরান সাবান সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হলো। আপনাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই আমি কিছু প্রশ্ন ও উত্তর আপনাদের জন্য নিম্নে তুলে ধরলাম।

জাফরান সাবান সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

প্রশ্নঃ জাফরান সাবানকে আর অন্য কি নামে চেনে?
উত্তরঃ- জাফরান সাবান কে অন্য কেশরী নামে চেনে।
প্রশ্নঃ ভালো জাফরান কোন দেশে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ- ভালো জাফরান মূলত ইরানে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, স্পেন, ইতালি ও তুরস্কে পাওয়া যায়। এছাড়াও কিছু ভালো মানের জাফরান আফগানিস্তানে হয়ে থাকে। ইরানের খোরশান প্রদেশে ভালো মানের জাফরান চাষ করা হয়।
প্রশ্নঃ জাফরান সাবানের দাম কত?
উত্তরঃ- জাফরান সাবান বিভিন্ন স্টোরে বিভিন্ন ধরনের দাম থাকে। তবে একটি ভালো জাফরান সাবান ৮০ গ্রামের দাম ৬৫০ টাকা হতে পারে।
প্রশ্নঃ জাফরান সাবান দিলে কি ত্বক ফর্সা হয়?
উত্তরঃ- জাফরান সাবান ত্বকে দিলে ধীরে ধীরে ফর্সা হয় অর্থাৎ এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
প্রশ্নঃ জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা যায়?
উত্তরঃ- যাদের সেনসিটিভ স্কিন তাদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্নঃ জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে কত দিনে ত্বক ফর্সা হতে পারে?
উত্তরঃ- সাধারণত জাফরান সাবান এক মাস ব্যবহারের ফলে ত্বক সুন্দর, মসৃণ এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ কথাঃ জাফরান সাবান এর অপকারিতা

উপরের আলোচনা হতে থেকে আমি এ কথায় আপনাদের বলতে পারি যে জাফরান সাবানের অপকারিতার চাইতে উপকারিতা অনেক বেশি। শুধু তাদের ক্ষেত্রে এই সাবানটি ক্ষতিকর যাদের স্কিনে জাফরান সাবানের রাসায়নিক পদার্থগুলো খারাপ প্রতিক্রিয়া করে।

তাছাড়া জাফরান সাবান নারী ও পুরুষ উভয়ে ব্যবহার করে এর বিভিন্ন উপকারে গুণ পেতে পারে। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক একটি সাবান সেহেতু এর কোন তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যাদের ত্বক ভালো তারা অবশ্যই এই সাবান নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url