১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - কিভাবে করবেন জানুন বিস্তারিত
১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে খুব সহজেই ব্রণের দাগ দূর করা যায়। আমাদের অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। এই আর্টিকেলে আপনাদের ব্রণের দাগ দূর করার সকল উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো।
একদিনে ব্রণের দাগ দূর করা কি আসলেই সম্ভব? না এটা ধীরে ধীরে দূর করা যায়, এ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাই আসুন দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে বিস্তারিত পড়ে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - জানুন বিস্তারিত
- ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
- আমাদের ব্রণ কেন হয়?
- কখন আমাদের ব্রণ হয়?
- ব্রণ হওয়ার পর দাগ কেন হয়?
- ১ দিনে কি ব্রণের দাগ হালকা করা যায়?
- ব্রণের দাগ দূর করার ৮ টি সেরা উপায়
- দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়
- বাজারজাত করা যে সকল পণ্য ব্যবহার করা যায়
- কিভাবে ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব?
- ত্বকের যত্নে বিশেষ সতর্কতাসমূহ
- পরিশেষে আমার মতামত
১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে আপনারা জানতে পারবেন খুব সহজেই কিভাবে ব্রণের দাগগুলো নিমিষে দূর করা যায়। আমাদের ত্বকে যদি ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে অনেকটা খারাপ দেখায়। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাদের মাঝে আমি এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করেছি।
ব্রণের দাগ ত্বকের সৌন্দর্য হানির অন্যতম একটি কারণ। অনেকেই দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করতে চান! বিশেষ করে কোনো বিশেষ মুহূর্ত বা অনুষ্ঠানের আগে। যদিও প্রাকৃতিক উপায়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুরোপুরি ব্রণের দাগ মুছে ফেলা অনেক কঠিন ব্যাপার, তবে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি এবং ঘরোয়া উপায় দিয়ে দাগ হালকা করা সম্ভব হয়।
অনেকেই মনে করেন ব্রণ একটি সাধারন সমস্যা, তবে এটা সাধারণ সমস্যা হলেও আমাদের অনেক সময় বিবৃতিকর একটি পরিস্থিতি ফেলে দেয়। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাদের মাঝে আমি বিস্তারিত ব্রণের যে সমস্যা সেই সমস্যা সমাধানের আলোচনা তুলে ধরেছি।
আমাদের মুখে যদি ব্রণ বা ব্রণের দাগ থাকে, তাহলে অনেক সময় আমরা কোন অনুষ্ঠানে বা কোন আয়োজনে বের হতে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ক্রিম এবং কিছু ঘরোয়া উপায় আপনাদের মাঝে নিম্নে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছি।
আমাদের ব্রণ কেন হয়?
অনেকে আমরা আমাদের ব্রণ কেন হয় এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি। আসলে অনেকেই মনে করেন যে আমার আগে এই সমস্যা ছিল না, হঠাৎ করে কেন এই সমস্যা তীব্র আকারে ধারণ করল। চলুন জেনে নেওয়া যাক আসলে কি কি কারণে আমাদের ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ আমাদের বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে- একটি হচ্ছে জেনেটিক্স কারণ অন্যান্য হচ্ছে মুখের ভিন্নতা বা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কারণে ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বদঅভ্যাসের কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। বয়সন্ধিকালে অন্যান্য হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি পায় যার ফলে এ সময়ে ব্রণ হয়ে থাকে।
জেনেটিক্স কারণ বলতে বংশগত ব্রুণ হওয়ার প্রবণতা বোঝায়। অর্থাৎ অতীতে আপনার বংশের ধারাবাহিকভাবে আপনার বাবা দাদার বাবার এভাবে হতে হতে আপনার মায়ের আপনার এভাবে হয়ে থাকে এটা হল জেনেটিক কারণ বা বংশগত কারণ। আবার লোমকূপের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠলে প্রদাহ এবং পুজ সৃষ্টি হয় যার ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
আরেকটি কারণ হচ্ছে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া- ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থ থেকে সেবাম তেল নিঃসৃত হয়। যখন এই তেল মৃতকোষ ময়লা বা অতিরিক্ত প্রসাধনীর কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয় তখন ব্রণের সৃষ্টি হয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপে থাকা, ঘুমের অভাব হওয়া এবং অতিরিক্ত ঘাম ব্রণের অন্যতম কারণ।
আবার বদঅভ্যাস বলতে ত্বকের যত্ন না নেওয়া, ত্বকের ময়লা পরিষ্কার না করা। বার বার অনৈতিক কাজ করা অর্থাৎ হস্তমৈথূন করা। এগুলো করলে এ ধরনের অভ্যাস এর কারণে ত্বকে ব্রণের প্রভাব বাড়তেই থাকে, কমে না।
কখন আমাদের ব্রণ হয়?
মূলত ব্রণ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় ও বয়স থাকে। এ সময়ে অসতর্কতা অসাবধানতা এবং কিছু বদভ্যাসের কারণে আমাদের ব্রণ হয়ে থাকে। তাই আসুন জেনে নেই কোন সময় বা কোন বয়সে আমাদের এই ব্রণের প্রকোপ বাড়ে এবং ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়।
এই সমস্যা আমাদের দেখা দেয় বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ মেয়েদের ও ছেলেদের বয়সন্ধিকালের সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় সঠিক যত্ন না নিলে ব্রণের প্রকোপ বাড়ে এবং ব্রণ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।
হরমোনের পরিবর্তনের ফলে অর্থাৎ ছেলেদের শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন অন্যান্য পরিবর্তন ১৩ থেকে ১৮ বছর হয়ে থাকে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু তাড়াতাড়ি হয় তাদের ৯ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
বয়ঃসন্ধিকাল, মাসিক চক্র ও গর্ভাবস্থায় সময় হরমোনের একটি বিশেষ পরিবর্তন হয়, ফলে ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম বা তেল তৈরি করে, যার কারণে ব্রণের সমস্যা তীব্র আকারে বাড়তে পারে। অর্থাৎ এ বিষয় থেকে বোঝা যায় ব্রণের এই সমস্যা বাড়তে পারে নির্দিষ্ট বয়স ও বিভিন্ন সময়ের ভিত্তিতে।
এই বয়ঃসন্ধিকাল বা নির্দিষ্ট সময় ও বয়সে আমাদের শরীরের সুন্দরভাবে যত্ন নিতে পারলে এবং খাওয়ার বদঅভ্যাস থেকে শুরু করে শারীরিক ও মানসিক অভ্যাসগুলো দূর করলে এ ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করা যায়।
ব্রণ হওয়ার পর দাগ কেন হয়?
ব্রণ হওয়ার পর দাগ কেন হয় চলুন এ বিষয়টি আমরা এখন জেনে নেই। আসলেই ব্রণ হওয়ার পর দাগ কেন হয় এ বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন। কেননা এ বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের যদি জানা থাকে, তাহলে আমরা খুব সহজেই কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে দাগটি দূর করতে পারব। ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে এখন আমরা এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
মূলত ব্রণের দাগের পিছনে কয়েকটি বিষয় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে যখন আমাদের ত্বকে বা মুখে ব্রণ হয় তখন আমরা সেখানে চুলকায় বা টিপ দিয়ে সেখানের পুজ বের করে ফেলি, সে আঘাতে ত্বকে দাগ হয়।
ব্রণ ভালো হওয়ার পর ত্বকের গভীর স্তরে মেলানিন বা রঞ্জক পদার্থের অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে কালো বা লালচে দাগ পড়ে। তাই এই দাগ ত্বকের প্রাকৃতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার সময় ধীরে ধীরে হালকা হয়। অর্থাৎ মাত্র একদিনে ব্রণের দাগ দূর করা যায় না সম্পূর্ণ ব্রণের দাগ দূর করতে কিছু সময় লাগে। ব্রণের দাগটি আসলে ধীরে ধীরে একেবারে দূর করা সম্ভব।
১ দিনে কি ব্রণের দাগ হালকা করা যায়?
১ দিনে কি ব্রণের দাগ হালকা করা যায় চলুন এবার এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আসলে কোন জিনিস বা কোন সমস্যা একদিনেই বা রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এটা একেবারেই দূর করতে হলে কিছুটা সময় প্রয়োজন। ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে এখন আমরা এ বিষয়টি জেনে নেব। নিম্নে এ বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ব্রণের দাগটি একদিনে নির্মূল করা একেবারেই সম্ভব নয়। যদি এই প্রচারণা কেউ চালিয়ে কোন ক্রিম বা কোন কিছু বলে তাহলে অবশ্যই সেটা মিথ্যা বলে জেনে নিবেন। কেননা ব্রণের দাগ দূর করতে মিনিমাম একমাস সময় লাগে। তবে হ্যাঁ কিছুটা ঘরোয়া উপায় ও কিছুটা ক্রিম ব্যবহার করে দাগ কমানো সম্ভব তবে একেবারেই নিঃশেষ করা সম্ভব নয়।
১ দিনে দাগ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, তবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দাগকে কম দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে। ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করা, আর্দ্রতা জোগানো, এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দাগ হালকা করার প্রচেষ্টা করা যেতে পারে। একদিনে এর বেশি দাগ কমানো সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে দাগগুলো কমানো সম্ভব। নিচের বিষয়গুলো থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন।
ব্রণের দাগ দূর করার ৮ টি সেরা উপায়
এমন কিছু উপায় রয়েছে যে উপায় গুলো আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ব্রণের দাগটি খুব সহজেই ধীরে ধীরে দূর করতে পারবেন। এরকম ৮ টি সেরা উপায় আপনাদের মাঝে এখন আমি উপস্থাপন করব। নিম্নে ব্রণের দাগ দূর করা ৮ টি সেরা উপায় গুলো তুলে ধরা হলো-
- লেবু ও মধুর মিশ্রণ- এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে আলতোভাবে ঘষে যদি প্রয়োগ করা হয় সপ্তাহে প্রতিদিন, তাহলে প্রায় এক মাসের মধ্যেই দেখবেন যে আপনার ব্রণের দাগ একবারে হালকা হয়ে গেছে বা নিঃশেষ হয়ে গেছে।
- কাঁচা হলুদ প্রতিদিন নিয়মিত মুখে ব্যবহারের ফলে দেখবেন যে ব্রণের দাগ অনেকটাই কমে গেছে। কাঁচা হলুদে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এসকল ভিটামিন থাকার কারণে মুখে ব্যবহারের পাশাপাশি এটি খেলেও বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা- এই জেল ব্যবহার করলে সকালে এবং বিকালে এই দুই সময় যদি নিয়মিত এক মাস ব্যবহার করা হয়, তাহলে লক্ষ্য করবেন যে আপনার ব্রণের দাগ কমে গেছে।
- ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ খুব সহজেই অল্প সময়েই কমে যায়।
- কিছু কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই ব্রণের দাগ দূর করা যায়। যেমন- YC ফেসওয়াশ ও ক্রিম।
- নিকোটিনামাইড জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করা, এ জাতীয় ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে ১৫ দিনের মধ্যে ব্রণের দাগ কমে যাবে, ইনশাআল্লাহ্।
- নিম পাতা ও হলুদ একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত আপনার ত্বকে ব্যবহার করলে মাত্র ১০ দিনে আপনি ফলাফল দেখতে পাবেন।
- হাতিসূরি গাছের পাতা বেটে মুখে সকালে ও বিকালে দিলে ১৫ দিনের মধ্যে ব্রণ ও ব্রণের দাগ খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়।
দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়
দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেই। আশা করছি ঘরোয়া উপায় গুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে নিম্নে এ বিষয়টি এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো-
দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়-
মধু এবং হলুদের পেস্ট ব্যবহার-
- উপকারিতা- মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, সেই সাথে হলুদ প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
- ব্যবহার- ১ চা চামচ মধু ও সামান্য হলুদ মিশিয়ে দাগে লাগিয়ে ১২-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার-
- উপকারিতা- অ্যালোভেরা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
- ব্যবহার- অ্যালোভেরা জেল ব্রণের দাগে প্রয়োগ করে সারারাত রেখে দিতে হবে।
বেকিং সোডা ব্যবহার-
- উপকারিতা- বেকিং সোডা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে পাশাপাশি দাগ হালকা করে।
- ব্যবহার- ১ চা চামচ বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি দাগের ওপর প্রয়োগ করে ৮-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস ব্যবহার-
- উপকারিতা- লেবুর রসে থাকা ভিটামিন "সি" দাগ হালকা করতে বিশেষভাবে কার্যকর।
- ব্যবহার- তুলার সাহায্যে লেবুর রস দাগে লাগিয়ে ১০-১২ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে এটি ব্যবহারের পরে রোদে যাবেন না।
বাজারজাত করা যে সকল পণ্য ব্যবহার করা যায়
বাজারজাত করা যে সকল পণ্য ব্যবহার করা যায় চলুন এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আসলে কোন পণ্যগুলো যেগুলো ব্রণের দাগ দূর করতে খুবই কার্যকর সেই সকল পণ্য সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত জেনে নেই। ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এই প্রবন্ধে নিম্নে এ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।
বাজারজাত করা যে সকল পণ্য ব্যবহার করা যায়-
- ভিটামিন "সি" সিরাম- দ্রুত দাগ হালকা করতে কার্যকর।
- নিকোটিনামাইড ক্রিম- দাগ হালকা করার জন্য জনপ্রিয়।
- এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব- ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
কিভাবে ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব?
কিভাবে আমরা ব্রণ প্রতিরোধ করতে পারি সে সম্পর্কে এখন আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হবে। ব্রণ অনেক সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আসলে এটি অনেক সময় তীব্র আকার ধারণ করে। যার ফলে এটা আগে থেকে কিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব সে সম্পর্কে জানা আমাদের অতীব জরুরী।
ব্রণ প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিজের ত্বক সম্পর্কে যত্নবান হতে হবে। ত্বক সম্পর্কে বুঝতে হবে অর্থাৎ আপনার স্কিন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ত্বকে যেন কোন ধরনের তৈলাক্ত ভাব যেন না আসে এই কারণে বিভিন্ন ধরনের উপরে বর্ণিত ঘরোয়া উপায় এবং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া যদি আপনি পূর্ব থেকেই নিজের খাদ্যাভ্যাস ভালো রাখেন অর্থাৎ তৈলাক্ত খাবার খাওয়া ভাজাপোড়া খাওয়া এগুলো থেকে বিরত থাকেন, বেশি বেশি পানি পান করেন, তাহলে অবশ্যই এই ব্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া বয়সন্ধিকালে নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এগুলো সঠিকভাবে পালন করলে ব্রণ প্রতিরোধ সম্ভব।
ব্রণ প্রতিরোধ করতে হলে উপরে বর্ণিত এ সকল কাজের পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। সেই সাথে অনৈতিক কাজ যেমন হস্তমৈথুন করা এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ত্বকের যত্নে বিশেষ সতর্কতাসমূহ
ত্বকের যত্নে বিশেষ সতর্কতাসমূহ চলুন জেনে নেওয়া যাক। যে কোন ধরনের ক্রিম বা অন্যান্য কিছু ব্যবহার করার আগে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, এবং সেইসাথে কোন ক্রিম দিলে কি ধরনের কাজে আসবে আমাদের ত্বকে, সে সম্পর্কে জানা উচিত। আসুন জেনে নেই কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।
ত্বকের যত্নে বিশেষ সতর্কতাসমূহ-
- দাগে বার বার হাত না দেওয়া।
- ত্বক পরিষ্কার রাখতে মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করা।
- রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
বিঃ দ্রঃ "ত্বকে কোনো উপাদান ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করুন। যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে ব্যবহার বন্ধ করুন।"
পরিশেষে আমার মতামত
পরিশেষে বলা যায় যে, একদিনে কখনোই ব্রণের দাগ একেবারে দূর করা সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব, এবং অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোন সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
যদিও একদিনে দাগ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতি এবং পণ্য ব্যবহার করলে দাগ অনেকটাই হালকা হবে বলে আশা করা যায়। নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে ত্বক অবশ্যই দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url