কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়:জেনে নিন বিস্তারিত
কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়:জেনে নিন বিস্তারিত এই আর্টিকেলে এখন আপনারা ঘুন পোকা মারার বিভিন্ন কৌশল বা পদ্ধতি এবং কোন ধরনের কাঠ গুলোতে সহজে ঘুন ধরে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বা আলোচনা করা হবে।

সূচিপত্রঃ কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়:জেনে নিন বিস্তারিত
- কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়
- ঘুন পোকা দেখতে কেমন হয়
- কেরোসিন তেল দিলে কি ঘুন পোকা যায়
- ঘুনপোকা কিভাবে কাঠের ক্ষতি করে
- কাঠে কি শুধু ঘুন পোকা লাগে না অন্যান্য পোকামাকড় লাগে
- ঘুনপোকা সহ অন্যান্য পোকাগুলো কাঠ থেকে কিভাবে মারবো
- কাঠে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে সহজে আর ঘুন ধরে না
- বাংলাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি কাঠ যেগুলো সহজে ঘুন ধরে না
- কোন কাঠে ঘুন ধরে না জানুন বিস্তারিত
- ঘুন পোকা মারার ১০ টি নতুন পদ্ধতি
- ঘুন পোকা মারার ঘরোয়া টিপস
- কাঠে ঘুন পোকা মারার কার্যকরী পদ্ধতি
- জেনে নিন কোন ধরনের কাঠে ঘুন ধরে না
- কোন কাঠে ঘুন ধরে না ও ঘুন পোকা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
- ঘুন পোকা মারার সময় সর্তকতা
- শেষ কথা
কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়
কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায়, চলুন এ সম্পর্কে এখন বিস্তারিত জেনে নেই। কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায় এই আর্টিকেলে ঘুন পোকা মারার উপায় এর পাশাপাশি কোন কাঠে ঘুন ধরে না এ বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। নিম্নে কাঠে ঘুন পোকা মারার বিভিন্ন উপায় আলোচনা করা হলো।
যে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে
- কীটনাশকের ব্যবহার
- গরম পানি এবং সাবান
- তেল জাতীয় দ্রব্য
- বোরিক অ্যাসিড
- কাঠ শোধন প্রক্রিয়া
- ভ্যাকুয়াম সিলিং পদ্ধতি
- নিয়মিত পরিষ্কার
- কীটনাশকের ব্যবহার- বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে কাঠের ঘুন পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বোরার কীটনাশক পাওয়া যায়। কীটনাশক স্প্রে করার আগে নির্দেশিকা পড়ে নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- গরম পানি এবং সাবান- গরম পানি এবং সাবান মিশ্রিত করে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে এরপর এই মিশ্রণটি কাঠের আক্রান্ত স্থান স্প্রে করুন। গরম পানির তাপে এবং সাবানের রাসায়নিক প্রভাবে ঘুন পোকারা মারা যেতে থাকে।
- তেল জাতীয় দ্রব্য- নিম তেল, ল্যাভেন্ডার তেল বা ইউক্যালিপটাস তেল কাঠে স্প্রে করলে ঘুন পোকারা পালিয়ে যায়। ঘুন প্রকার প্রজনন কমানোর জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকরী।
- বোরিক অ্যাসিড- বোরিক অ্যাসিড একটি কার্যকরী কীটনাশক, যা ঘুন পোকার জন্য অনেক বিষাক্ত। এটি কাঠের আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করা যায়।
- কাঠ শোধন প্রক্রিয়া- কাঠকে যদি হিট ট্রিটমেন্ট বা মাইক্রোওয়েভ ট্রিটমেন্ট এর মাধ্যমে শোধন করা যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় ঘুন পোকার ডিম এবং লার্ভা নষ্ট হয়ে যায়।
- ভ্যাকুয়াম সিলিং পদ্ধতি- ভ্যাকুয়াম সিলিং পদ্ধতিতে কাঠকে এমন স্থানে রাখা হয় যেখানে অক্সিজেন থাকে না, এই পদ্ধতিতে ঘুন পোকারা দ্রুত মারা যায়। কারণ তারা অক্সিজেনের অভাবে টিকে থাকতে পারে না।
- নিয়মিত পরিষ্কার- কাঠের জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘুন পোকার বাসা বাধা থেকে প্রতিরোধ করতে পরিষ্কার এবং শুকনো জায়গায় রাখার গুরুত্ব অপরিসীম।
উপরিক্ত এই উপায় গুলো ঘুন প্রতিরোধে অনেক সহায়তা করে থাকে।
ঘুন পোকা দেখতে কেমন হয়
ঘুন পোকা দেখতে কেমন হয় আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন আবার অনেকেই এই ঘুনপোকা দেখেন নাই। তাই সহজেই এই ঘুনপোকা চিনতে নিচের বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন বলে আশা করছি।
কাঠে শুধু ঘুনপোকাই লাগে না অন্যান্য পোকাও লাগে ফলে কাঠ খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের দেশে ঘুনপোকা দুই ধরনের দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ ঘুনপোকার চাইতে আমাদের দেশে কাঠে উইপোকার বেশি আক্রমণ দেখা যায়।
ঘুন পোকা দেখতে কিছুটা সাদা আকৃতির নখ যুক্ত এবং মুখের কাছে শিং এর মতন দেখা যায়। এ পোকা মুখ এবং পা দিয়ে খুব সহজে কাঠকে চিরতে পারে। নিম্নে এই পোকা চেনার সুবিধার্থে আপনাদেরকে কয়েকটি ছবি দেয়া হলো-
এই পোকাগুলো কাঠ খাওয়ার সময় বাজে একটা কট কট শব্দ করে।
আরও পড়ুনঃ শসার উপকারিতা ও অপকারিতা:জানুন এ টু জেড
কেরোসিন তেল দিলে কি ঘুন পোকা যায়
কেরোসিন তেল দিলে কি ঘুন পোকা যায় চলুন এবার এ বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমরা যদি নতুন আটকে ভালো রাখার জন্য কেরোসিন তেল প্রয়োগ করে তাহলে কি ঘুন পোকার আক্রমণ হবে না বা ঘুনপোকা কি লাগবে না সে বিষয়ে সম্পর্কে নিম্ন বর্ণনা করা হলো-
কেরোসিন একটি আমাদের দেশে জ্বালানি তেল হিসেবে আগে ব্যাপক ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে বাংলাদেশে এলপি গ্যাস উৎপন্ন হওয়ায় এই জ্বালানি খুব কম ব্যবহার দেখা যায়। এই কেরোসিনের ব্যবহার এখন নাই বললেই চলে। তবে এখনও তেলের দোকানে এই তেল সামান্য দেখা যায়।
কেরোসিন তেল যদি আপনি কাঠের যে কোন আসবাবপত্র তৈরি আগে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে যদিও গুণ পোকা ধরে তাহলে অনেক পরে ধরবে। আর যদি আপনি প্রতি বছর সে আসবাবপত্রে কেরোসিন তেল চারিদিক দিয়ে ব্যবহার করেন অর্থাৎ সে আসবাবপত্রের সাইট থেকে শুরু করে সব জায়গায় ভালোভাবে তেলটি স্প্রে করে দিলে ঘুনপোকা দেখা যাবে না।
ঘুনপোকা না থাকার কারণ হচ্ছে যখন এই কেরোসিন তেল ব্যবহার করবেন তখন ঘুনপোকার যে ডিম সেই ডিম নষ্ট করে দিবে। কেরোসিন তেল ঘুনপোকার ডিম নষ্ট করে বলেই এটি ব্যবহার করা হয় যার ফলে কাঠে ঘুন ধরে না।
ঘুনপোকা কিভাবে কাঠের ক্ষতি করে
ঘুনপোকা কিভাবে কাঠের ক্ষতি করে চলুন এ বিষয়টি জেনে নেয়া যাক। ঘুন পোকা বিভিন্নভাবে কাঠের ক্ষতি করে থাকে এটি আবশ্য বোঝা যায় না যে আপনার কাঠে ঘুন পোকা লেগেছে কিনা। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে কাঠের যত্ন নেন তাহলে ঘুন পোকা আর লাগবেনা।
ঘুনপোকা যেভাবে কাঠের ক্ষতি করে তা হচ্ছে একটি কাঠের যে কোন জায়গায় অর্থাৎ সেটা মূলত আগে কাঠের আসবাবপত্রের নিচের দিকে আক্রমণ করে। একটি আসবাবপত্র যখন আপনি কোন জায়গায় রাখবেন সেই জায়গার নিচের অংশ মাটি বা অন্যান্য জায়গায় যদি রাখেন তবুও সেখান থেকে মানে নিচের অংশ থেকেই আপনার এর আক্রমণ হবে।
আর এটা যখন আক্রমণ করবে তখন দেখবেন যে চেয়ার বা টেবিলের পায়াতে আক্রমণটা প্রাথমিকভাবে শুরু হবে। এরপরে আপনার অন্যান্য জায়গায় এটা ছড়িয়ে পড়বে। ঘুনপোকা কাঠের ভেতরে ভেতরে খেয়ে নষ্ট করে এবং ভেতরে সবকিছু ফাঁপা করে দেয়।
অর্থাৎ কাঠগুলো খেয়ে তারা নষ্ট করে ফেলে দেয়। এমন ভাবে নষ্ট করে যেন উপরের অংশটি ভালো থাকে এবং ভিতরে অংশটি ফাঁপা করে দেয়। ভিতরে অংশটি এমন ভাবে খেয়ে নষ্ট করে যে, একসময় দেখা যায় যে টেবিলটা আপনার এমনিতেই ভেঙে যাচ্ছে।
কাঠে কি শুধু ঘুন পোকা লাগে না অন্যান্য পোকামাকড় লাগে
কাঠে কি শুধুই ঘুন পোকা লাগে না অন্যান্য পোকামাকড় লাগে, হ্যাঁ অবশ্যই অন্যান্য পোকামাকড় লাগে। ঘুনপোকা আকারে বড় হয় আর অন্যান্য যে পোকামাকড় লাগে তারা ঘুনপোকার চেয়ে একটু ছোট হয়। যেমন উইপোকা ঘুনপোকার চেয়ে আপনার ছোট।
কাঠে শুধু ঘুন পোকায় লাগেনা কাঠে আপনার বিভিন্ন ধরনের আক্রমণের চাইতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে উইপোকার আক্রমণ। এই উইপোকা সহজেই কোন আসবাবপত্র যদি মাটির সাথে থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে সে আক্রমণ করতে পারে।
যে আসবাব পত্রে থাকে সেখানে অনেক ডিম পেড়ে সহজে অনেকগুলো বাচ্চা হয়ে যায় এবং তারা অনেক বংশবিস্তার করে। একেবারে এই উই পোকা কাঠ খেয়ে শেষ করে ফেলে দেয় কিছুদিনের ভিতরেই। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে উই পোকার আক্রমণ থেকে।
আমাদের আগে অবশ্যই দেখতে হবে যেন এটা মাটির স্পর্শ যেন না করে। সেই সাথে যদি আপনি পাকা বাড়িতে থাকেন বা দালান-কোঠায় থাকেন তাহলে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি না পড়ে। পানি যদি পড়ে তাহলে অবশ্যই সেখানে থেকেই অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়।
ঘুনপোকা সহ অন্যান্য পোকাগুলো কাঠ থেকে কিভাবে মারবো
ঘুনপোকা সহ অন্যান্য পোকাগুলো কাঠ থেকে কিভাবে মারবেন চলুন এবার এ বিষয়টি বিস্তারিত জানি। অন্যান্য পোকাগুলো যেভাবে মারবো এটা কোন কঠিন বিষয় নয় আসলে ঘুনপোকা ও অন্যান্য পোকা কীটনাশক ও অন্যান্য উপাদান দিয়েই সহজেই মারা যায়। নিম্নে ঘুন পোকা সহ অন্যান্য পোকাগুলো যেভাবে মারা যাবে তা বর্ণনা করা হলো-
ঘুন পোকা সহ অন্যান্য পোকাগুলো মারতে অবশ্যই আপনি নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে আরো ব্যবহার করতে পারেন কীটনাশক- বোরিক এসিড জাতীয়, এ জাতীয় কীটনাশক দিয়ে মারা যায়। এর পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানে কেরোসিনের তেল প্রয়োগ করা হলে সহজে মরে যায়।
এ ধরনের পোকাগুলো একেবারে নিঃশেষ করতে নিম তেল, বোরিক অ্যাসিড, কেরোসিন তেল এগুলো একসাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে, বা যে স্থানে ঘুনপোকা লেগেছে সেখানে আপনি যদি এটা ভালোভাবে প্রয়োগ করেন তাহলে দেখবেন যে খুব সহজে ঘুনপোকা গুলো মরে বেরিয়ে যাচ্ছে।
কাঠে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে সহজে আর ঘুন ধরে না
কাঠে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে সহজে আর ঘুন ধরে না এটা জানা আমাদের অনেক প্রয়োজন। কেননা কোন কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে আমরা সহজেই ঘুনপোকা থেকে কাটকে সংরক্ষিত রাখতে পারি সেই বিষয়ে আমাদের যদি জানা থাকে তাহলে আমরা আমাদের বাড়ির আসবাবপত্র ভালো রাখতে পারব। তাই চলুন জেনে নেই কোন কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে সহজেই আর ঘুনপোকা ধরে না-
আপনি যদি বোরিক অ্যাসিড জাতীয় কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন তাহলে কাঠের আর সহজে কোন ঘুনপোকা ধরবে না। বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে পাওয়া যায় বোরিক অ্যাসিড পাউডার আবার আপনি ঘরোয়া উপায় এর ভিতর নিম তেল ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘুনপোকা মারতে পারেন।
নিম তেল ব্যবহারের ফলে কাঠে ঘুন ধরে না, কেননা এই নিম তেল ঘুনপোকার লার্ভা নষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে বোরিক এসিড যদি আপনি প্রয়োগ করে থাকেন তাহলে এর লার্ভা সহ এই পোকা যদি থাকে অর্থাৎ কোন পোকাও যদি থাকে তাহলে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই নিম তেল অথবা বোরিক এসিড এ জাতীয় যদি কোন কিছু ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কাঠের আর ঘুন ধরবে না।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি কাঠ যেগুলো সহজে ঘুন ধরে না
বাংলাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি কাঠ যেগুলো সহজে ঘুন ধরে না চলুন এ বিষয়ে জেনে নেই। আপনি যদি এ বিষয়ে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোনো কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করতে বা কিনতে গেলে আপনি জিজ্ঞাসা করে নিতে পারবেন যে এই কাঠের দাও এই কাঠে সহজে ঘুন ধরে না। তাই চলুন নিম্নে জেনে নেই বাংলাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি কাঠ যেগুলো সহজে ঘুন ধরে না-
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে জানলেন কোন কাঠে ঘুন ধরলে কিভাবে সে ঘুনগুলো মারবেন এবং কোন কোন কীটনাশক প্রয়োগ করার মাধ্যমে সহজে কাঠে ঘুন ধরে না। চলুন এবার বাংলাদেশে ব্যবহৃত কয়েকটি কাঠের নাম জানি যেগুলো সহজে ঘুন ধরে না।
এক নাম্বার পজিশনে রয়েছে শাল কাঠ, এই কাঠে সহজে ঘুন ধরে না। দ্বিতীয়ত রয়েছে সেগুন কাঠ। তৃতীয়তা রয়েছে মেহগনি কাঠ। এছাড়া নিম, বাবুল এসকল গাছে সহজেই ঘুন ধরে না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আম, কাঁঠাল, জাম এগুলোতে সহজে ঘুনে ধরে।
কোন কাঠে ঘুন ধরে না
কোন কাঠে ঘুন ধরে না, কিছু বিশেষ ধরনের কাঠ রয়েছে যেগুলোতে ঘুন ধরা সম্ভব নয়। এসব কাঠের ঘনত্ব, প্রাকৃতিক এবং রাসায়নিক উপাদান ঘুন পোকার জন্য প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। নিম্নে কোন কাঠে ঘুন ধরে না এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- সেগুন কাঠে ঘুন ধরে না। কেনোনা এ কাঠে প্রাকৃতিক তেল এবং রজন থাকে, যা ঘুন পোকার জন্য বিরক্তিকর।
- নিম কাঠে প্রাকৃতিক কীটনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই নিম কাঠে ঘুন ধরে না।
- সিডার কাঠে প্রাকৃতিক তেল থাকে, তাই এই কাঠেও ঘুন ধরে না।
- মাহগনি কাঠের ঘনত্ব বেশি এবং এটি অত্যন্ত টেকসই, তাই সহজে এই কাঠে ঘুন ধরে না।
- ওক কাঠ খুবই শক্ত এবং ঘন, এর মধ্যে প্রাকৃতিক ট্যানিন রয়েছে। তাই এই কাঠে সহজে ঘুন ধরে না।
- আকাসিয়া কাঠ খুবই মজবুত এবং ঘন হাওয়ায়, এ কাঠও ঘুন প্রতিরোধী।
- শিশু কাঠ ঘন এবং এতে প্রাকৃতিক তেল বিদ্যমান রয়েছে, তাই এ কাঠেও সহজে ঘুন ধরে না।
- ওয়ালনাট কাঠ ঘুন প্রতিরোধী, কেনোনা এই কাঠের ঘনত্ব বেশি।
- আইপ কাঠ বা লোহ কাঠের ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি ও শক্ত। এর ঘনত্বের কারণে ঘুন পোকা আক্রমণ করতে পারে না।
- পাইন কাঠে প্রাকৃতিক রজন থাকে, যার কারণে এটি ঘুন পোকা প্রতিরোধ করে থাকে।
উপরে বর্ণিত এ সকল কাঠগুলো ঘুন প্রতিরোধী। তাই আপনি যদি কোন ঘরের আসবাবপত্র ও অন্যান্য কাজ করতে চান, তাহলে এ সকল কাঠ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুন পোকা মারার ১০ টি নতুন পদ্ধতি
ঘুন পোকা মারার ১০ টি নতুন পদ্ধতি চলুন এ বিষয় সম্পর্কে এখন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায় এই আর্টিকেলে আমরা শুধু ঘুন পোকা মারার উপায় নয় বরং কোন কাঠে ঘুন ধরে না সে সকল বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। নিম্নে এ বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-
১০ টি নতুন পদ্ধতি
- লেবুর রস এবং মেহগনি তেল মিশ্রণ
- মোমবাতির গরম মোম ব্যবহার
- সোডা এবং পানি মিশ্রণ
- গরম বাতাস ব্যবহার
- ধুপ বা ধোয়া ব্যবহার
- নিমপাতা এবং গুঁড়া
- অ্যালকোহল স্প্রে
- অ্যাসেটোন স্প্রে
- ভিনেগার স্প্রে
- লবঙ্গের তেল
লেবুর রস এবং মেহগনি তেল মিশ্রণ- লেবুর রস এবং মেহগনি তেল মিশিয়ে কাঠের ওপর প্রয়োগ করলে এটি ঘুন পোকার জন্য ক্ষতিকারক পরিবেশ তৈরি করে থাকে। এই মিশ্রণটি কাঠের ছিদ্র গুলোতে প্রবেশ করে ঘুন পোকাকে মেরে ফেলা যায় খুব সহজেই।
মোমবাতির গরম মোম ব্যবহার- মোমবাতির গরম মোম কাঠের ছিদ্র গুলোতে ঢেলে দিন, এর ফলে গরম মোম ঘুন পোকাকে মেরে ফেলে এবং ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেয়।
সোডা এবং পানি মিশ্রণ- সোডা [বেকিং সোডা] এবং পানি মিশিয়ে কাঠের আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে। এ কাজ করলে ঘুন পোকাদের শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যায় এবং পোকা গুলো মরে যায়।
গরম বাতাস ব্যবহার- গরম বাতাস [হেয়ার ডায়ার বা হিট গান] কাঠের আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে ঘুন পোকার ডিম এবং লার্ভা খুব সহজেই মরে যায়। ঘুন পোকা উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারেনা, এটি তাদের জন্য ক্ষতিকারক।
ধুপ বা ধোয়া ব্যবহার- ধুপ বা ধোয়া ব্যবহার করে কাঠের আশেপাশের ঘুন পোকাকে মেরে ফেলা যায়। ঘুন পোকারা ধোয়া সহ্য করতে পারে না ফলে এরা পরিবেশ থেকে পালিয়ে যায়।
নিমপাতা এবং গুঁড়া- নিম পাতার গুঁড়ো বা নিম তেল কাঠের আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে এটি ঘুন পোকাদের দূরে রাখে। কেনোনা নিমের গন্ধ তাদের সহ্য হয়না এবং নিমের রাসায়নিক পদার্থ ঘুন পোকাদের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালকোহল স্প্রে- ৯০% অ্যালকোহল মিশ্রণ করে কাঠের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করলে ঘুন পোকা সহজেই মরে যায়। এটি পোকা কে দ্রুত মেরে ফেলে এবং তাদের বংশবিস্তার রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অ্যাসেটোন স্প্রে- অ্যাসেটোন স্প্রে কাঠে প্রয়োগ করলে ঘুন পোকার শরীরে প্রবেশ করে এবং দ্রুত তাদের মেরে ফেলতে পারে। তবে ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন কারণ অ্যাসেটোন দাহ্য পদার্থ।
ভিনেগার স্প্রে- সাদা ভিনেগার এবং পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এটি কাঠের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করুন। ভিনেগার ঘুন পোকার জন্য অনেক বিরক্তিকর এবং এটি পোকা একদম সহ্য করতে পারে না।
লবঙ্গের তেল- লবঙ্গ তেল কাঠে প্রয়োগ করলে এটি ঘুন পোকার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।এই লবঙ্গ তেলে উপস্থিত রাসায়নিক গুন, ঘুন পোকার জন্য বেশ ক্ষতিকর।
উপরোক্ত এই নতুন পদ্ধতি গুলো থেকে আশা করি আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
ঘুন পোকা মারার ঘরোয়া টিপস
ঘুন পোকা মারার ঘরোয়া টিপস এ বিষয়টি এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে। কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায় এই আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো ঘুন পোকা মারার ঘরোয়া টিপসগুলো। নিম্নে ঘরোয়া টিপসগুলো তুলে ধরা হলো।
ঘুন পোকা মারার ঘরোয়া টিপস
- অলিভ অয়েল ভিনেগার মিশ্রণ
- লেবুর রস ও বেকিং সোডা
- লবণ এবং পানি মিশ্রণ
- তেজপাতার পাউডার
- বোরিক অ্যাসিড
- রসুনের পেস্ট
- অলিভ অয়েল ভিনেগার মিশ্রণ- অলিভ অয়েল ও ভিনেগার মিশিয়ে কাঠে লাগান, এটি ঘুন পোকার শরীরে প্রবেশ করে তাদের দুর্বল করে দেয়।
- লেবুর রস ও বেকিং সোডা- লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন, এই পেস্ট কাঠের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। লেবুতে থাকা অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা ঘুন পোকার জন্য অতি বিষাক্ত।
- লবণ এবং পানি মিশ্রণ- লবণ ও পানি মিশিয়ে কাঠের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করুন। লবণ ঘুন পোকার শরীর থেকে পানি শোষণ করে এবং তাদের মেরে ফেলতে সাহায্য করে থাকে।
- তেজপাতার পাউডার- তেজপাতার পাউডার কাঠেতে ছিটিয়ে দিন তেজপাতার গন্ধ ঘুন পোকার জন্য বিরক্তকর এবং তাদের দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- বোরিক অ্যাসিড- বোরিক অ্যাসিড পাউডার এমন একটি শক্তিশালী কীটনাশক যা ঘুন পোকাদের শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে এবং খুব সহজেই ঘুন পোকা মেরে ফেলে।
- রসুনের পেস্ট- কিছু রসুনের কুয়া নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং কাঠের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। রসুনের গন্ধ এবং এর রাখুন রাসায়নিক উপাদান ঘুন পোকার জন্য অনেক ক্ষতিকর।
এভাবে আপনি ঘরোয়া টিপসগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই ঘুন পোকার উপদ্রব কমাতে পারেন। সেই সাথে ঘুন পোকাকে খুব সহজেই মেরে ফেলতে পারেন।
কাঠে ঘুন পোকা মারার সহজ উপায়
কাঠে ঘুন পোকা মারার সহজ উপায় এ বিষয়টি এখন আমরা আপনাদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরবো।কাঠে ঘুন পোকা মারার সহজ কিছু উপায় সম্পর্কে আমাদের যদি জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা যে কোন কাঠের ঘুন পোকা মারতে পারবো। নিম্নে কাঠে ঘুন পোকা মারা সহজ উপায় উল্লেখ করা হলো-
- ভিনেগার এবং লেবুর রস মিশিয়ে কাঠের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করলে সহজে ঘুন পোকা মারা যায়।
- নিমপাতার তেল আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে ঘুন পোকা সহজেই মরে যায়।
- গরম পানি এবং সামান্য সাবান মিশিয়ে কাঠে স্প্রে করলে ঘুন সহজে মারা যায়।
- লবঙ্গ তেল কাঠের ছিদ্র স্থানে প্রয়োগ করলে ঘুন মরে যায়।
- লবণ পানি দিয়ে ঘুন প্রকার শরীরে স্প্রে করলে তা মরে যায়।
- গরম বাতাস প্রয়োগ করলে ঘুন পোকা সহজেই মরে যায়।
- বোরিক অ্যাসিড পাউডার কাঠের আক্রান্ত স্থানে ছিটিয়ে দিলে সহজেই ঘুন পোকা মরে যায়।
- ৭০% বা তার বেশি অ্যালকোহল কাঠের আক্রান্ত স্থানে স্প্রে করলে ঘুন পোকা মরে যায়।
- টারপেনটাইন তেল কাঠে প্রয়োগ করলে এটি ঘুন পোকা মারার জন্য সহজপন্থা।
উপরে বর্ণিত এই সহজ উপায় গুলো আপনি মেনে চললে খুব সহজেই ঘুন পোকা মারা সম্ভব।
জেনে নিন কোন ধরনের কাঠে ঘুন ধরে না
জেনে নিন কোন ধরনের কাঠে ঘুন ধরে না এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। কাঠে ঘুন পোকা মারার উপায় এই আর্টিকেলে এতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা অনেক কিছুই বিস্তারিত জানলেন। চলুন এখন জেনে নেই কোন ধরনের কাঠ গুলোতে ঘুন ধরে না।
- শিশু কাঠ ঘন এবং কঠিন প্রকৃতির, যা ঘুন পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই কাঠে প্রাকৃতিক তেল থাকে, যা ঘুন পোকার জন্য বিরক্তিকর। তাই এ ধরনের কাঠে কখনো ঘুন ধরে না।
- মাহগনি বা মেহগনি কাঠের উচ্চ ঘনত্ব এবং প্রাকৃতিক প্রতিরোধক গুণাগুণ আছে। যা ঘুন পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া এটি টেকসই এবং আদ্রতা ও প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
- আকাশিয়া কাঠ খুবই কঠিন এবং ঘন হওয়ার কারণে, ঘুন পোকারা সহজে এটি আক্রমণ করতে পারে না। এর তেল ঘুন পোকা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
- নিম কাঠ প্রাকৃতিক কীটনাশক বৈশিষ্ট্য থাকে, যা ঘুন পোকারা সহ্য করতে পারে না, এটা অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কীটনাশকেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- ওয়ালনাট কাঠ ঘন এবং মজবুত হওয়ার কারণে ঘুন প্রকার আক্রমণ সম্ভাবনা কম থাকে। এই কাঠ গুলো ঘুন প্রতিরোধী হয়ে থাকে। এই কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য আদর্শ।
- পাইন কাঠে প্রাকৃতিকভাবে রেজিন থাকে, যা ঘুন পোকার আক্রমণ বিশেষভাবে প্রতিরোধ করে থাকে। তবে এটা আদ্রতা থেকে সুরক্ষিত রাখলে ঘুন পোকা এটি সহজে আক্রমণ করতে পারবে না।
- ওক কাঠ অনেক শক্তিশালী এবং ঘন হওয়ার জন্য ঘুন পোকা এতে লাগতে পারে না। ওক কাঠে প্রাকৃতিক ট্যানিন থাকে যা ঘুন পোকাকে দূরে রাখে।
- সিডার কাঠে প্রাকৃতিক তেল থাকে, ফলে আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় সিডার কাঠ। এই কাঠ ঘুন পোকার জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে থাকে।
মূলত এ সকল বা এ ধরনের কাঠে ঘুনের আক্রমণ হয় না। এ ধরনের কাঠে নিজে থেকেই ঘুন প্রতিরোধী ব্যবস্থা রয়েছে।
কোন কাঠে ঘুন ধরে না ও ঘুন পোকা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
কোন কাঠে ঘুন ধরে না ও ঘুন পোকা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর চলুন জেনে নেওয়া যাক। আপনাদের জন্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো-
- প্রশ্নঃ কিভাবে ঘুন পোকার আক্রমণ থেকে বাচা যায়?
- উত্তরঃ- ঘুন পোকার আক্রমণ থেকে বাচতে কাঠকে পানি, মাটি ও স্যাঁতসেঁতে জায়গার স্পর্শ থেকে আলাদা করে রাখতে হবে।
- প্রশ্নঃ শাল কাঠ, সেগুন কাঠ ও মেহগনি কাঠে আসলেই কি ঘুন ধরে না?
- উত্তরঃ- সব কাঠেই কম বেশি ঘুন ধরে, তবে শাল কাঠ, সেগুন কাঠ ও মেহগনি কাঠে সহজে ঘুন ধরে না।তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
- প্রশ্নঃ কোন ধরণের কীটনাশক ঘুন পোকা মারতে বেশি কার্যকর?
- উত্তরঃ- বোরিক এসিড জাতীয় কীটনাশক ঘুন পোকা মারতে বেশি কার্যকর।
- প্রশ্নঃ কেরোসিন তেলে কি সত্যই ঘুন পোকা মরে?
- উত্তরঃ- হ্যাঁ অবশ্যই ঘুন পোকা মরে কেরোসিন তেল প্রয়োগ করলে। তবে এর সাথে আলকাতরা দিলে সহজে ঘুন পোকা ধরে না।
- প্রশ্নঃ কীটনাশক প্রয়োগ করার কত দিনের মধ্যে বা কত সময়ের মধ্যে ঘুনপোকা মরে যায়?
- উত্তরঃ- সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুনপোকা মারা যায়।
- প্রশ্নঃ কীটনাশক প্রয়োগ করলে কি ঘুনপোকাসহ অন্যান্য পোকা মারা যায়?
- উত্তরঃ- হ্যাঁ, অবশ্যই অন্যান্য সব পোকা মারা যায়।
ঘুন পোকা মারার সময় সর্তকতা
ঘুন পোকা মারার সময় সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা আমরা যদি সতর্কতা অবলম্বন না করি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। আবার নানা রকম সমস্যা হতে পারে, সেটা পরিবেশেরই হোক কিংবা মানুষেরই হোক বা অন্যান্য জীবজন্তুরই হোক না কেন। তাই আমাদের সব সময় এগুলো ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক থাকা উচিত।
কোন ঘুনপাকা মারার সময় যখন আপনি কীটনাশক স্প্রে করবেন অবশ্যই তখন মাক্স পড়ে স্প্রে করবেন। এছাড়া নিম তেল বা অন্যান্য কিছু প্রয়োগ করার সময় সুন্দরভাবে মুখ জড়িয়ে নিবেন, যেন নাকে এবং চোখ মুখের স্পর্শ এড়িয়ে চলে।
পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করার আগে পরিবেশগত ও সার্থকতা প্রভাব বিবেচনা করুন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যেন কোনো ক্ষতির দিকে না যায়। আমাদের সবকিছু মাথায় রেখে সতর্কতার সহিত কাজ করে যাওয়া অতি উত্তম।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে উপরিক্ত আলোচনা হতে, ঘুন পোকা মারার এ সকল উপায় ও বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি এবং সেই সাথে কোন কাঠে এবং কোন ধরনের কাঠের ঘুন ধরে না সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে।
উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সহজেই ঘুন পোকা প্রতিরোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি ঘুন পোকা মারতেও পারবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন আপনাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
জিনেউস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url